শুল্কযুদ্ধ মোকাাবিলায় ইউরোপ ও ভারতকে পাশে চায় চীন
আপলোড সময় :
১২-০৪-২০২৫ ১২:০৫:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০৪-২০২৫ ১২:০৫:৫৫ অপরাহ্ন
প্রতিদিনই আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার শুল্কযুদ্ধ। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র কিছু দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত রাখলেও চীনের ক্ষেত্রে তা অব্যাহত রাখেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, চীনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের জবাবে একদিনে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ এবং পরদিন তা আরও বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন তিনি।
চীনও চুপ করে থাকেনি। শুক্রবার তারা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয় এবং হলিউডের চলচ্চিত্র আমদানিতে জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) আনুষ্ঠানিক অভিযোগও জানিয়েছে বেইজিং।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলে বলেন, “শুল্কযুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পীড়ন শুধু তাকে বিশ্বমঞ্চে একঘরে করে দেবে।” বিশ্ব বাণিজ্যের ভারসাম্য রক্ষায় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের সঙ্গে মৈত্রী গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, “বিশ্বায়নের রক্ষাকবচ হিসেবে চীন ও ইউরোপকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ সফরেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কে তাদের কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের বক্তব্য, ট্রাম্প প্রশাসন যদি এই নীতিতে অটল থাকে, তবে সেটি “বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে এক প্রহসন” হিসেবেই চিহ্নিত হবে। চীন বার্তা দিয়েছে—আলোচনায় বসতে হলে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকা চাই, আর আঘাত এলে তার জবাব দিতেও প্রস্তুত তারা।
ভারতকেও পাশে চায় চীন। চীনে নিযুক্ত ভারতের দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং মনে করেন, এই সংকটে ভারত ও চীনের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি। এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের উচিত একে অপরকে সহযোগিতা করে এই সংকট মোকাবিলা করা।” তিনি আরও দাবি করেন, চীনের অর্থনীতি শুধু নিজের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের বাণিজ্য স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই অতীতে ‘ড্রাগন ও হাতি’ উপমা টেনে বলেছিলেন, “এই দুই শক্তির সহাবস্থান দুই দেশের পাশাপাশি গোটা অঞ্চলের জন্যও লাভজনক।” যদিও চীন প্রশাসনের এই আহ্বানে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স